হৃদরোগ এখন আর শুধু বয়স্কদের সমস্যা নয়; অল্প বয়সের তরুণরাও আজ হৃদরোগের ঝুঁকিতে পড়ছেন। অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, ধূমপান ও ব্যায়ামের অভাব— এই চারটি কারণই মূলত হৃদরোগের প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করে।
অভিজ্ঞ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ এ.টি.এম. ইকবাল হাসান বলেন, “রোগের পর চিকিৎসা নয়, বরং রোগ হওয়ার আগেই প্রতিরোধই সবচেয়ে কার্যকর।”
তিনি মনে করেন, জীবনধারায় ছোট কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন আনলে হৃদরোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো সম্ভব। যেমন—
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম করা
ধূমপান ও অতিরিক্ত চা–কফি পরিহার করা
চর্বিযুক্ত খাবার কম খাওয়া এবং ফলমূল ও সবজি বেশি গ্রহণ করা
নিয়মিত রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল পরীক্ষা করা
পর্যাপ্ত ঘুম ও মানসিক প্রশান্তি বজায় রাখা
প্রফেসর ডাঃ এ.টি.এম. ইকবাল হাসান বলেন, “আমরা যত দ্রুত বুঝবো যে হৃদরোগ প্রতিরোধ আমাদের হাতেই, তত দ্রুত একটি সুস্থ সমাজ গড়া সম্ভব।” তিনি তার রোগীদের শুধু ওষুধ নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদি জীবনধারা পরিবর্তনের পরামর্শ দেন— যেন হার্টের উপর অতিরিক্ত চাপ কমে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে।
প্রফেসর ডাঃ এ.টি.এম. ইকবাল হাসান প্রতিদিন বহু রোগীকে জীবনধারার এই পরিবর্তনের মাধ্যমে পুনরায় সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনছেন। তার নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত চেকআপ ও ব্যায়াম মেনে চললে হার্ট অ্যাটাক, উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়।
সবশেষে তিনি বলেন—
“হৃদয়কে ভালো রাখতে চাইলে প্রথমে নিজেকে ভালোবাসতে শিখুন, নিয়মিত যত্ন নিন এবং প্রতিদিন নিজের স্বাস্থ্যের খবর রাখুন।”